প্রাইভেট চাকরির জন্য দুধরণের যোগ্যতা থাকা জরুরি। প্রথম ধরনের যোগ্যতা গুলি সকলেই জানেন। এগুলি থাকলে চাকরি পেতে পারেন।আর দ্বিতীয় ধরণের যোগ্যতা গুলি চাকরি টিকিয়ে রাখতে অত্যন্ত জরুরী!
প্রথম ধরনের যোগ্যতাঃ
১) শিক্ষাগত যোগ্যতা ।
২)পরিশ্রম করার মানসিকতা।
৩) সততা।
৪) আর্থিক লেনদেনের ক্ষেত্রে স্বচ্ছতা।
৫) কর্ম দক্ষতা।
দ্বিতীয় ধরণের যোগ্যতাঃ
১) ব্যক্তিগত লিঙ্ক বা প্রভাবশালী লোকের সুপারিশ!
২) মালিক বা বস কে তৈলমর্দনে পেশাদারিত্ব।
৩) Office politics এ শৈল্পিক দক্ষতা।
৪) ব্যক্তিগত বা পারিবারিক কারণে ছুটি না চাওয়া!
৫) কাজের সময় (office hours) ভুলে যাওয়া।
৬) টেকনিক্যাল স্টাফ হয়েও ক্লারিক্যাল এবং ক্লারিক্যাল স্টাফ হয়েও টেকনিক্যাল কাজ করার ক্ষেত্রে অসন্মতি প্রকাশ না করা!
৭) প্রতিষ্ঠান বা কারখানার কর্মী হয়েও মালিক বা বসের ব্যক্তিগত কাজ করে দেওয়া।
৮) কোনোরকম ইউনিয়নের সঙ্গে জড়িত না থাকা বা থাকলেও তাদের গোপন strategy মালিক কর্তৃপক্ষকে সময়মতো জানানো!
৯) ব্যক্তিগত ভালো মন্দ সম্পর্কে উদাসীন থেকে কর্মস্থলের কাজকে গুরুত্ব দেওয়া।এতে সদ্য বিবাহিত স্ত্রী বা শিশু সন্তান বা বৃদ্ধ বাবা মা অথবা আত্মীয় স্বজন যতই ভুল বুঝুক!
১০) আপনাকে যদি কর্মস্থল থেকে মোবাইল বা রিচার্জ এর খরচ এবং ল্যাপটপ দেয়,তাহলে মনে মনে ধরে নিতে হবে আপনি ২৪ ঘন্টার জন্য সংস্থার কর্মী! রাত একটায় আপনাকে ফোন ধরতে হতে পারে বা ভোর চারটেই মেল পাঠাতে বা ইনভয়েস/স্টক এর হিসেব চাওয়া হতে পারে!
পরিশেষে একটা কথা অভিজ্ঞতা থেকে বলতে চাই যে যদি আপনি সৎ এবং ফাঁকিবাজ না হন, উপরের কোনো কাজ না করেই আপনি চাকরিতে টিকে থাকতে পারবেন।মালিক কতৃপক্ষ হয়তো আপনাকে পছন্দ করবেন না,হয়তো আপনার জুনিয়রদের বেতন বৃদ্ধি আপনার থেকে বেশী হারে হবে,কিন্তু আপনাকে ছাড়াবার সাহস ওনাদের হবে না! এমনকি ৫৮ বা ৬০ বছরের পরেও আপনি নিজে থেকে ছেড়ে না দিলে যতদিন কর্মক্ষম থাকবেন চাকরি করে যাবেন।সরকারী চাকরির সঙ্গে প্রাইভেট চাকরির এইখানেই পার্থক্য !!!
0 Comments